মো: লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কুয়াকাটায় ঘূর্র্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্র্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে প্রবল স্রোতের ঝাপটায় ভেঙ্গে-চুড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। চিরচেনা সৈকত অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যমন্ডিত সাজানো পুরো সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেছে কিন্তু উপকূল জুড়ে রয়ে গেছে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত সৈকত রক্ষায় বালু ভর্তি জিও টিউব। কয়েকটি জিও টিউব তুফানের তোড়ে ফেটে বালু বের হয়ে গেছে। জিও টিউবের পাশের বালু সরে গিয়ে সমতল সৈকতে পুকুর তৈরী হয়েছে। জিও টিউবের পাশে চাপা দেয়া বালু ভর্র্তি জিও ব্যাগ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে। সৈকতের পাশে পাবলিক টয়লেটের অধিকাংশ ভেঙ্গে গেছে। সৈকতের শত শত ছোট দোকান ভেঙ্গে চুরমার হয়ে স্রোতে ভেসে গেছে সমুদ্রে। সৈকত লাগোয়া আবাসিক হোটেল কিংস ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। আবাসিক হোটেলটির বড় বড় আকারের কংক্রিট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সরদার মার্র্কেটের অর্ধেক তুফানে নিয়ে গেছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে কাউয়ারচর পর্যন্ত সৈকতের সংরক্ষিত বনের শত শত গাছপালা উপড়ে যেখানে সেখানে পরে আছে। সবচেয়ে বেশী আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে পর্যটক বিনোদন কেন্দ্র কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। সৈকতের তীরে অবস্থিত ঝাউবন, নারিকেল কুঞ্জ, তালবাগান, শালবনসহ শুটঁকি পল্লী তছনছ হয়ে গেছে। কুয়াকাটার স্থানীয় বিনিয়োগকারী আল-আমিন মুসুল্লী এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতি জোয়ারের পর ভাটায় সৈকতে আসলে অচেনা লাগে। গত কয়েক দিনের ঢেউয়ের তান্ডবে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। পর্যটন ব্যবসায়ী মো: নাসির উদ্দিন গনমাধ্যমকে বলেন, সৈকতের শতাধিক দোকানপাট ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.মোতালেব শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেটে গেছে, সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। এখন সবাইকে উদ্যোগ নিয়ে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
Leave a Reply